ঐতিহাসিক অনু-উপন্যাস। প্রথম প্রকাশ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (বৈশাখ, ১২৮০)। প্রথম সংস্করণে পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৩৬। ১৮৯৩ সালে পঞ্চম তথা সর্বশেষ সংস্করণে পৃষ্ঠা সংখ্যা হয় ৫০।

‘যুগলাঙ্গরীয়’ খুব ছোট্ট একটা আখ্যান। কেউ বলে থাকেন নভেলা বা ছোট উপন্যাস, কেউ বলেন বড় গল্প। বঙ্কিম একে বলেছেন উপকথা। প্রাচীন পটভূমিকায় একটি প্রেম কাহিনী। ছোটগল্প শিল্পমাধ্যমটি সেকালে থাকলে ‘যুগলাঙ্গুরীয়’ একটি গল্প হতে পারত। ‘ইন্দিরা’র পর এই আখ্যানে বঙ্কিমচন্দ্র আবার একই ফর্মচর্চা করেন।

এটা সুখ পাঠ্য একটা বই। কিছুটা রোমাণ্টিক কিছুটা রূপকথার মিশেলে ভাল লাগা একটা বই। বাল্যপ্রেম, বিচ্ছেদ, বিয়ে, বিরহ, মিলন সবমিলিয়ে দুটি মানবচরিত্রকে মিলিয়ে দিয়ে গেলো দুইটি অঙ্গুরীয় বা আংটি।

যুগলাঙ্গুরীয়ের সমালোচনাও আছে— কেউ কেউ বলেন, — বঙ্কিমরচনাবলীতে রাজসিংহ, চন্দ্রশেখর, আনন্দমঠের মতো উপন্যাসের মাঝে যুগলাঙ্গুরীয়ের স্থান রত্নের মাঝে পাথরের মতো।

যুগলাঙ্গুরীয়ের পরিচ্ছেদসমূহ

Leave a Reply