পূবের হাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানের সঙ্কলন। এটি প্রকাশিত হয় ৩০শে জানুয়ারি ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে (মাঘ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পূবের হাওয়া ১৩৩২ সালের আশ্বিন মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক মজিবল হক, বি. কম্., ভোলা, বরিশাল। ওরিয়েণ্টাল প্রিণ্টার্স এণ্ড পাবলিশার্স লিমিটেড, ২৬/৯/১এ, হ্যারিসন রোড, কলিকাতা থেকে মুদ্রিত। প্রকাশক ‘একটি কথা’য় বলেন— ...
পূবের হাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানের সঙ্কলন। এটি প্রকাশিত হয় ৩০শে জানুয়ারি ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে (মাঘ, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
পূবের হাওয়া ১৩৩২ সালের আশ্বিন মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক মজিবল হক, বি. কম্., ভোলা, বরিশাল। ওরিয়েণ্টাল প্রিণ্টার্স এণ্ড পাবলিশার্স লিমিটেড, ২৬/৯/১এ, হ্যারিসন রোড, কলিকাতা থেকে মুদ্রিত। প্রকাশক ‘একটি কথা’য় বলেন—
‘পূবের হাওয়া’য় পঞ্চাশটি কবিতা যাওয়ার কথা। এবার সাঁইত্রিশটি গেল; পর বারে সব কটি দেওয়া যাবে।
পূরের হাওয়ায় সাঁইত্রিশটি কবিতার মধ্যে নিম্নের ছাব্বিশটি কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের পূর্ববর্তী কাব্যগ্রন্থ ছায়ানটের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। কিন্তু, কিছু কিছু কবিতায় ছায়ানট ও পূবের হাওয়ার পাঠে ভিন্নতা আছে। যে সকল কবিতায় পাঠ ভিন্নতা নেই, সেগুলো পূবের হাওয়ার অন্তর্ভূক্ত করা হলো না।
- মরমী
- অবসর (মুক্তিবার)
- বেদনা-মানিক (বেদনা-মণি)
- বেদনা-হারা (প্রতিবেশিনী)
- নিরুদ্দেশের যাত্রী
- পথিক-শিশু (চির-শিশু)
- স্নেহ-ঋণী (স্নেহ-ভীতু)
- দুপুর-অভিসার
- দহন-মালা
- পথিক-বধূ (বিধুরা পথিক প্রিয়া)
- স্নেহ-পরশ (পরশ-পূজা)
- বাঁশী বাজিল (কার বাঁশী বাজিল?)
- গৃহহারা (বেদনা-অভিমান)
- অনাদৃতা (অবেলায়)
- স্নেহাতুর (হারা-মণি)
- নিশীথ-প্রীতম
- রেশমী ডোর (হার-মানা-হার)
- দূরের পথিক (বিদায়-বেলায়)
- পুলক (নীল পরী)
- প্রণয়-ছল (ছল-কুমারী)
- বরষায় (বাদল-দিনে)
- বিদায়-বাঁশী (অকরুণ পিয়া)
- শেষের ডাক (শেষের গান)
- অভিমানিনী (অনাদৃতা)
- শেষের প্রীতম (মনের মানুষ)
- বিজয়িনী
বাদল-প্রাতের শরাব ১৩২৭ আষাঢ়ের মোসলেম ভারতে বের হয়েছিল। শিরোনামের নীচে বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল— ‘হাফিজ-এর ছন্দ ও ভাব অবলম্বনে’। পূবের হাওয়ায় কবিতাটির শিরোনাম দেওয়া হয় ‘নিকটে’। এই কবিতা সম্বন্ধে ১৩২৭ ভাদ্রের ‘মোসলেম ভারতে’ শ্রীমোহিললাল মজুমদার বলেন—
‘বাদল-প্রাতের শরাব’ শীর্ষক কবিতায় ইরানের পুষ্পসার ও দ্রাক্ষাসার ভরপুর হইয়া উঠিয়াছে। এ কবিতাটিতেও কবির মস্ত্ হইবার ও মস্ত করিবার ক্ষমতা প্রকাশ পাইয়াছে। বাঙ্গালী মাত্রেই ইহার উচ্ছল রসাবেশ অন্তরে অনুভব করিবে। কবির লেখনি জয়যুক্ত হউক।
মানিনী ১৩২৭ বৈশাখের বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় ‘মানিনী বধূর প্রতি’ শিরোনামে বের হয়েছিল।
আশা ১৩২৭ পৌষের সওগাতে কলঙ্কী প্রিয়া শিরোনামে ছাপা হয়েছিল। বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল— ‘গান—বাউলের সুর’।
শরাবান্ তহুরা [নার্গিস বাগ্ মেঁ বাহার কি আগ্ মেঁ] গানটি ১৯২০ সালে রচিত বলে শ্রদ্ধেয় মুজফ্ফর আহমদ ১৯৬৬ সালের ২রা আগষ্ট তারিখে লেখা তাঁর এক পত্রে (১৩৮২ সালের নজরুল একাডেমী পত্রিকায় প্রকাশিত) উল্লেখ করেছেন।
বিহর-বিধুরা ১৩২৭ মাঘের মোসলেম ভারতে ছাপা হয়েছিল। পাদটীকায় লেখা ছিল— ‘কাবুলি-কবি ‘খোশহাল’-এর হিন্দুস্থানে নির্বাসন-কালীন তাঁহার সহধর্মিনীর লিখিত একটি কবিতার ভাব অবলম্বনে।’
সূচিপত্র