সাম্প্রতিক সংযোজন
সর্বহারা » ধীবরদের গান
আমরা নীচে পড়ে রইব না আর শোন রে ও ভাই জেলে, এবার উঠব রে সব ঠেলে! ওই বিশ্ব-সভায় উঠল সবাই রে, ওই মুটে মজুর হেলে। এবার উঠব রে সব ঠেলে॥ আজ সবার গায়ে লাগছে ব্যথাContinue Reading
সর্বহারা » শ্রমিকের গান
ওরে ধ্বংস-পথের যাত্রীদল! ধর হাতুড়ি, তোল কাঁধে শাবল॥ আমরা হাতের সুখে গড়েছি ভাই, পায়ের সুখে ভাঙব চল। ধর হাতুড়ি, তোল কাঁধে শাবল॥ ও ভাই আমাদেরই শক্তিবলে পাহাড় টলে তুষার গলে মরুভূমে সোনার ফসল ফলে রে!Continue Reading
সর্বহারা » কৃষাণের গান
ওঠ রে চাষি জগদ্বাসী ধর কষে লাঙল। আমরা মরতে আছি – ভালো করেই মরব এবার চল॥ মোদের উঠান-ভরা শস্য ছিল হাস্য-ভরা দেশ ওই বৈশ্য দেশের দস্যু এসে লাঞ্ছনার নাই শেষ, ও ভাই লক্ষ হাতে টানছেContinue Reading
সর্বহারা » সর্বহারা
১ ব্যথার সাতার-পানি-ঘেরা চোরাবালির চর, ওরে পাগল! কে বেঁধেছিস সেই চরে তোর ঘর? শূন্যে তড়িৎ দেয় ইশারা, হাট তুলে দে সর্বহারা, মেঘ-জননীর অশ্র”ধারা ঝ’রছে মাথার’ পর, দাঁড়িয়ে দূরে ডাকছে মাটি দুলিয়ে তর”-কর॥ ২ কন্যারা তোরContinue Reading
সর্বহারা » মা (বিরজাসুন্দরী দেবী)-র শ্রীচরণারবিন্দে
মা (বিরজাসুন্দরী দেবী)-র শ্রীচরণারবিন্দে সর্বসহা সর্বহারা জননী আমার। তুমি কোনদিন কারো করনি বিচার, কারেও দাওনি দোষ। ব্যথা-বারিধির কূলে ব’সে কাঁদ’ মৌনা কন্যা ধরণীর একাকিনী! যেন কোন্ পথ-ভুলে-আসা ভিন্-গাঁ’র ভীর” মেয়ে! কেবলি জিজ্ঞাসা করিতেছে আপনারে, ‘Continue Reading
সর্বহারা » সর্বহারা
‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে, মুতাবিক ১৯২৬ খৃষ্টাব্দের অক্টোবরে। প্রকাশক ব্রজবিহারী বর্মণ রায়, বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ১৯৩ কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্রীট, কলিকাতা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২+৬৪, মূল্য এক টাকা ছয় আনা। তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়— সর্বহারা, কৃষাণেরContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » আমি সৈনিক
এখন দেশে সেই সেবকের দরকার যে-সেবক সৈনিক হতে পারবে। সেবার ভার নেবে নারী কিংবা সেই পুরুষ, যে-পুরুষের মধ্যে নারীর-করুণা প্রবল। নারীর ভালোবাসা আর পুরুষের ভালোবাসা বিভিন্ন রকমের। নারীর ভালোবাসায় মমতা আর চোখের জলের করুণাই বেশি।Continue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?
‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ বনানী-কুন্তলা ষোড়শী বনের বুক চিরে বেরিয়ে এসে পথ-হারা পথিককে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ সেদিন দিশেহারা পথিকের মুখে উত্তর জোগায়নি। সুন্দরের আঘাতে পথিকের মুখে কথা ফোটেনি। পথিক সেদিন সত্যই পথContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » মেয়্ ভুখা হুঁ
পাগলি মেয়ের কী খেয়াল উঠল, হঠাৎ দুপুর রাতে ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘মেয়্ ভুখা হুঁ!’ মঙ্গল-ঘট গেল ভেঙ্গে, পুরনারীর হাতে শাঁখ আর বাজে না, শাঁখাও গেল টুটে। ভীত শিশু মাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করলে, ‘মা, ওContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » স্বাগত
‘খোশ-আমদেদ!’ স্বাগত হে দেশবন্ধু! হে বীরেন্দ্র! তোমাদের এই তিমির রাত্রির অবসানে আমরা আমাদের স্বাগত সম্ভাষণ জানাচ্ছি। তোমরা ফিরে এস এই বাংলার শ্মশানে। জ্বালিয়ে রেখেছি এই শ্মশান-চিতার হোম-শিখা ; এস ঋষি, হোতা হও। এস তবে, কপালেContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » মোরা সবাই স্বাধীন : মোরা সবাই রাজা
একবার শির উঁচু করে বলো দেখি বীর, ‘মোরা সবাই স্বাধীন, সবাই রাজা!’ দেখবে অমনি তোমার পূর্ব-পুরুষের রক্ত-মজ্জা-অস্থি দিয়ে গড়া রক্ত-দেউল তাসের ঘরের মতো টুটে পড়েছে, তোমার চোখের সাত-পুরু-করে বাঁধা পর্দা খুলে গেছে, তিমির রাত্রি দিক-চক্রবালেরContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » তুবড়ি বাঁশির ডাক
ঐ শোন– পুব সাগরের পার হতে কোন্ এল পরবাসী। শূন্যে বাজায় ঘন ঘন হাওয়ায় হাওয়ায় শনশন সাপ খেলাবার বাঁশি। বেরিয়ে এস, বেরিয়ে এস বিবর থেকে ‘অগ্নি-বরণ নাগ-নাগিনী’ তোমাদের নিযুত ফণা দুলিয়ে। ওই শোনো, সাপুড়ের তুবড়িContinue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল
এস ভাই, পথের সাথী বন্ধুরা আমার, এস আমাদের লক্ষ্মীছাড়ার দল! আজ শনি এসেছে তোমাদের পোড়া-কপালে বাসি ছাই-এর পাণ্ডুর টিকা পরিয়ে দিতে। এস আমার লক্ষ্মীছাড়া গৃহহারা ভাইরা! আজ ঝর-ঝর বারিধারার সুরে সুরে কান্না উঠেছে–‘হায় গৃহহীন, হায়Continue Reading
দুর্দিনের যাত্রী » দুর্দিনের যাত্রী
১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬শে শ্রাবণ মুতাবিক ১৯২২ খৃষ্টাব্দের ১১ই আগস্ট অর্ধসাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’র প্রথম সংখ্যা বের হয়। নজরুল ইসলাম ‘ধূমকেতু’তে যে-সকল সম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লেখেন তারই কতকগুলি সংগ্র করে ৫৪ পৃষ্ঠার পুস্তিকা ‘দুর্দিনের যাত্রী’ প্রকাশিত হয়। প্রকাশক নজরুলContinue Reading
ঝিঙে ফুল » পিলে-পটকা
উটমুখো সে সুঁটকো হাশিম, পেট যেন ঠিক ভুঁটকো কাছিম! চুলগুলো সব বাবুই দড়ি – ঘুসকো জ্বরের কাবুয় পড়ি! তিন-কোনা ইয়া মস্ত মাথা, ফ্যাচকা-চোখো; হস্ত? হাঁ তা ঠিক গরিলা, লোবনে ঢ্যাঙা! নিটপিটে ঠ্যাং সজনে ঠ্যাঙা! গাইতি-দেঁতো,Continue Reading
ঝিঙে ফুল » ঠ্যাং-ফুলি
হো-হো-হো উররো হো-হো! হো-হো-হো উররো হো-হো উররো হো-হো বাস কী মজা! কে শুয়ে চুপ সে ভুঁয়ে, নারছে হাতে পাশ কী সোজা! হো-বাবা! ঠ্যাং ফুলো যে! হাসে জোর ব্যাংগুলো সে ড্যাং তুলো তার ঠ্যাংটি দেখে! ন্যাংContinue Reading
ঝিঙে ফুল » হোঁদলকুঁৎকুতের বিজ্ঞাপন
মিচকে-মারা কয় না কথা মনটি বড়ো খুঁতখুঁতে। ‘ছিঁচকাঁদুনে’ ভ্যাবিয়ে ওঠেন একটু ছুঁতেই না ছুঁতে। ড্যাবরা ছেলে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে থেকে গাল ফুলান, সন্দেশ এবং মিষ্টি খেতে – বাসরে বাস – এক জাম্বুবান! নিম্নমুখো-যষ্টি ছেলে দশটি ছেলেContinue Reading
ঝিঙে ফুল » লিচু চোর
বাবুদের তাল-পুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে সে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাড়া। পুকুরের ঐ কাছে না লিচুর এক গাছ আছে না হোথা না আস্তে গিয়ে য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে গাছে গো যেই চড়েছি ছোট একContinue Reading
ঝিঙে ফুল » প্রভাতী
ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠ রে! ওই ডাকে জুঁই-শাখে ফুল-খুকি ছোটরে! খুকুমণি ওঠ রে! রবি মামা দেয় হামা গায়ে রাঙা জামা ঐ, দারোয়ান গায় গান শোন ঐ, ‘রামা হৈ!’ ত্যাজি নীড় করে ভিড় ওড়েContinue Reading
ঝিঙে ফুল » চিঠি
[ছন্দ :- “এই পথটা কা-ট্ব পাথর ফেলে মা-র্ব”] ছোট্ট বোন্টি লক্ষ্মী ভো ‘জটায়ু পক্ষী’! য়্যাব্বড়ো তিন ছত্র পেয়েছি তোর পত্র। দিইনি চিঠি আগে, তাইতে কি বোন্ রাগে? হচ্ছে যে তোর কষ্ট বুঝতেছি খুব পষ্ট। তাইতেContinue Reading