সাম্প্রতিক সংযোজন
ফণী-মনসা » আশীর্বাদ
কল্যাণীয়া শামসুন নাহার খাতুন জয়যুক্তাসু শত নিষেধের সিন্ধুর মাঝে অন্তরালের অন্তরীপ তারই বুকে নারী বসে আছে জ্বালি বিপদ-বাতির সিন্ধু-দীপ। শাশ্বত সেই দীপান্বিতার দীপ হতে আঁখি-দীপ ভরি আসিয়াছ তুমি অরুণিমা-আলো প্রভাতি তারার টিপ পরি। আপনার তুমিContinue Reading
ফণী-মনসা » প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় যায় অতীত কৃষ্ণ-কায় যায় অতীত রক্ত-পায়— যায় মহাকাল মূর্ছা যায় প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! যায় প্রবীণ চৈতি-বায় আয় নবীন- শক্তি আয়! যায় অতীত যায় পতিত, ‘আয় অতিথ, আয় রেContinue Reading
ফণী-মনসা » দ্বীপান্তরের বন্দিনী
আসে নাই ফিরে ভারত-ভারতী? মা-র কতদিন দ্বীপান্তর? পুণ্য বেদির শূন্যে ধ্বনিল ক্রন্দন—‘দেড় শত বছর।’… সপ্ত সিন্ধু তেরো নদী পার দ্বীপান্তরের আন্দামান, রূপের কমল রূপার কাঠির কঠিন স্পর্শে যেখানে ম্লান, শতদল যেথা শতধা ভিন্ন শস্ত্র-পাণির অস্ত্র-ঘায়,Continue Reading
ফণী-মনসা » সব্যসাচী
ওরে ভয় নাই আর, দুলিয়া উঠেছে হিমালয়-চাপা প্রাচী, গৌরীশেখরে তুহিন ভেদিয়া জাগিছে সব্যসাচী! দ্বাপর যুগের মৃত্যু ঠেলিয়া জাগে মহাযোগী নয়ন মেলিয়া, মহাভারতের মহাবীর জাগে, বলে ‘আমি আসিয়াছি।’ নব-যৌবন-জলতরঙ্গে নাচে রে প্রাচীন প্রাচী! ২ বিরাট কালেরContinue Reading
ফণী-মনসা » ফণী-মনসা
‘ফণী-মনসা’ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মুতাবিক ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের জুলাই মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ছিলেন কবি নিজেই, যদিও ঠিকানা ছাপা হয়েছিল ‘বর্মণ পাবলিশিং হাউসের’, ১৯৩ কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্রীট, কলিকাতা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৪, মূল্য পাঁচ সিকা। ‘সব্যসাচী’ ২৩শেContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » হিন্দু-মুসলমান
একদিন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল আমার, হিন্দু-মুসলমান সমস্যা নিয়ে। গুরুদেব বললেন : দ্যাখো, যে ন্যাজ বাইরের, তাকে কাটা যায়, কিন্তু ভিতরের ন্যাজকে কাটবে কে? হিন্দু-মুসলমানের কথা মনে উঠলে আমার বারেবারে গুরুদেবের ওই কথাটাই মনেContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » মন্দির ও মসজিদ
‘মারো শালা যবনদের!’ ‘মারো শালা কাফেরদের!’ – আবার হিন্দু মুসলমানি কাণ্ড বাধিয়া গিয়াছে। প্রথমে কথা-কাটাকাটি, তারপর মাথা-ফাটাফাটি আরম্ভ হইয়া গেল। আল্লার এবং মা কালীর ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য যাহারা এতক্ষণ মাতাল হইয়া চিৎকার করিতেছিল তাহারাই যখনContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » ‘ধূমকেতু’র পথ
অনেকেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করছেন, ‘ধূমকেতু’-র পথ কী? সে কী বলতে চায়? এর দিয়ে কোন্ মঙ্গল আসবে ইত্যাদি। নীচে মোটামুটি ‘ধূমকেতু’র পথনির্দেশ করছি। প্রথম সংখ্যায় ধূমকেতুতে ‘সারথির পথের খবর’ প্রবন্ধে একটু আভাস দিবার চেষ্টা করেছিলাম,Continue Reading
রুদ্রমঙ্গল » ক্ষুদিরামের মা
ক্ষুদিরামের ফাঁসির সময়ের একটা গানে আছে, ক্ষুদিরাম বলছে – ‘আঠার মাসের পরে জনম নেব মাসীর ঘরে, মা গো, চিনতে যদি না পার মা দেখবে গলায় ফাঁসি–’ একবার বিদায় দে মা ফিরে আসি। সেই হারা-ক্রন্দনের আশ্বাস-গানContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » বিষ-বাণী
মাভৈঃ! মাভৈঃ!! ভয় নাই, ভয় নাই–ওগো আমার বিষ-মুখ অগ্নি-নাগ-নাগিনীপুঞ্জ! দোলা দাও, দোলা দাও তোমাদের কুটিল ফণায় ফণায়। তোমাদের যুগ যুগ-সঞ্চিত কাল-বিষ আপন আপন সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে ফেলো। তোমাদের বিভূতি-বরণ অঙ্গ কাঁচা বিষের গাঢ় সবুজ রাগে রেঙেContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » মোহর্রম
ফিরে এসেছে আজ সেই মোহর্রম—সেই নিখিল-মুসলিমের ক্রন্দন-উৎসবের দিন। কিন্তু সত্য করে আজ কে কেঁদেছে বলতে পার হে মুসলিম? আজ তোমার চোখে অশ্রু নাই। আজ ক্রন্দন-স্মৃতি তোমার উৎসবে পরিণত! তোমার অশ্রু আজ ভণ্ডামি, ক্রন্দন আজ কৃত্রিমContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » আমার পথ
আমার এই যাত্রা হল শুরু ওগো কর্ণধার, তোমারে করি নমস্কার। ‘মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে’ ‘জয় প্রলয়ংকর’ বলে ‘ধূমকেতু’কে রথ করে আমার আজ নতুন পথে যাত্রা শুরু হল। আমার কর্ণধার আমি। আমায় পথ দেখাবে আমার সত্য।Continue Reading
রুদ্রমঙ্গল » রুদ্রমঙ্গল (প্রবন্ধ)
নিশীথ রাত্রি। সম্মুখে গভীর তিমির। পথ নাই। আলো নাই। প্রলয়-সাইক্লোনের আর্তনাদ মরণ-বিভীষিকার রক্ত-সুর বাজাচ্ছে। তারই মাঝে মাকে আমার উলঙ্গ করে টেনে নিয়ে চলেছে আর চাবকাচ্ছে যে, সে দানবও নয়, দেবতাও নয়, রক্ত-মাংসের মানুষ। ধীরে ধীরেContinue Reading
রুদ্রমঙ্গল » রুদ্রমঙ্গল
‘রুদ্রমঙ্গল’ প্রবন্ধ সঙ্কলনের প্রথম প্রকাশকাল জানা যায় না, কেননা মুদ্রিত পুস্তিকায় প্রকাশকালের উল্লেখ নেই। ৭৮ পৃষ্ঠার পুস্তিকা ‘রুদ্রমঙ্গলে’র মুদ্রাকর ছিলেন শ্রীঅমূল্যচন্দ্র ভট্টাচার্য্য, ‘ভট্টাচার্য্য প্রিণ্টিং ওয়ার্কস’, ২ নিবেদিতা লেন, বাগবাজার, কলিকাতা। মূল্য আট আনা। আলী আহমদContinue Reading
সর্বহারা » গোকুল নাগ
না ফুরাতে শরতের বিদায়-শেফালি, না নিবিতে আশ্বিনের কমল-দীপালি, তুমি শুনেছিলে বন্ধু পাতা-ঝরা গান ফুলে ফুলে হেমন্তের বিদায়-আহবান! অতন্দ্র নয়নে তব লেগেছিল চুম ঝর-ঝর কামিনীর, এল চোখে ঘুম রাত্রিময়ী রহস্যের; ছিন্ন শতদল হ’ল তব পথ-সাথী; হিমানী-সজলContinue Reading
সর্বহারা » প্রার্থনা
[গান] এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়। এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়। জয় জয়। জয় জয়। এসো বীর অনাগত বজ্র-সমুদ্যত। এসো অপরাজেয় উদ্ধত নির্দয়। জয় জয়। জয় জয়। হে মৌনী জন-গণ- বেদনা-বিমোচন- যুগ-সেনানায়ক! জাগো জ্যোতির্ময়। জয় জয়। জয়Continue Reading
সর্বহারা » আমার কৈফিয়ৎ
১ বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’, কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি! কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে! যেমন বেরোয় রবির হাতে সেContinue Reading
সর্বহারা » ফরিয়াদ
১ এই ধরণীর ধূলি-মাখা তব অসহায় সন্তান মাগে প্রতিকার, উত্তর দাও, আদি-পিতা ভগবান!- আমার আঁখির দুখ-দীপ নিয়া বেড়াই তোমার সৃষ্টি ব্যাপিয়া, যতটুকু হেরি বিস্ময়ে মরি, ভ’রে ওঠে সারা প্রাণ! এত ভালো তুমি? এত ভালোবাসা? এতContinue Reading
সর্বহারা » কাণ্ডারী হুশিয়ার!
কোরাস : ১ দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার! দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছেContinue Reading
সর্বহারা » ছাত্রদলের গান
আমরা শক্তি আমরা বল আমরা ছাত্রদল। মোদের পায়ের তলায় মুর্সে তুফান উর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল। আমরা ছাত্রদল॥ মোদের আঁধার রাতে বাধার পথে যাত্রা নাঙ্গা পায়, আমরা শক্ত মাটি রক্তে রাঙাই বিষম চলার ঘায়! যুগে-যুগে সিক্ত হলContinue Reading