সাম্প্রতিক সংযোজন
বাঁধনহারা » বাঁধনহারা
‘বাঁধনহারা’ পত্রোপন্যাস বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম উপন্যাস। করাচিতে থাকাকালীন তিনি ‘বাঁধনহারা’ উপন্যাস রচনা শুরু করেন। ১৯২১ খৃষ্টাব্দ মুতাবিক ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যা ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘বাঁধনহারা’ ধারাবাহিকভাবেContinue Reading
ফণী-মনসা » হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধ
১ মাভৈঃ! মাভৈঃ! এতদিনে বুঝি জাগিল ভারতে প্রাণ সজীব হইয়া উঠিয়াছে আজ শ্মশান গোরস্থান! ছিল যারা চির-মরণ-আহত, উঠিয়াছে জাগি’ ব্যথা-জাগ্রত, ‘খালেদ’ আবার ধরিয়াছে অসি, ‘অর্জুন’ ছোঁড়ে বাণ। জেগেছে ভারত, ধরিয়াছে লাঠি হিন্দু-মুসলমান! ২ মরিছে হিন্দু,Continue Reading
ফণী-মনসা » যা শত্রু পরে পরে
রাজ্যে যাদের সূর্য অস্ত যায় না কখনও, শুনিস হায়, মেরে মেরে যারা ভাবিছে অমর, মরিবে না কভু মৃত্যু-ঘায়, তাদের সন্ধ্যা ওই ঘনায়! চেয়ে দেখ ওই ধূম্র-চূড় অসন্তোষের মেঘ-গরুড় সূর্য তাদের গ্রাসিল প্রায়! ডুবেছে যে পথেContinue Reading
ফণী-মনসা » পথের দিশা
চারিদিকে এই গুণ্ডা এবং বদমায়েসির আখ্ড়া দিয়ে রে অগ্রদূত, চ’লতে কি তুই পারবি আপন প্রাণ বাঁচিয়ে? পারবি যেতে ভেদ ক’রে এই বক্র-পথের চক্রব্যুহ? উঠবি কি তুই পাষাণ ফুঁড়ে বনস্পতি মহীরুহ? আজকে প্রাণের গো-ভাগাড়ে উড়ছে শুধুContinue Reading
ভাঙার গান » যুগের আলো
নিদ্রা-দেবীর মিনার-চুড়ে মুয়াজ্জিনের শুনছি আরাব,– পান করে নে প্রাণ-পেয়ালায় যুগের আলোর রৌদ্র-শারাব! উষায় যারা চমকে গেল তরুণ রবির রক্ত-রাগে, যুগের আলো! তাদের বলো, প্রথম উদয় এমনি লাগে! সাতরঙা ওই ইন্দ্রধনুর লাল রংটাই দেখল যারা, তাদের গাঁয়ে মেঘ নামায়েContinue Reading
ফণী-মনসা » জাগর-তূর্য
[ শেলির ভাব-অবলম্বনে ] ওরে ও শ্রমিক, সব মহিমার উত্তর-অধিকারী! অলিখিত যত গল্প-কাহিনি তোরা যে নায়ক তারই॥ শক্তিময়ী সে এক জননির স্নেহ-সুত সব তোরা যে রে বীর, পরস্পরের আশা যে রে তোরা, মার সন্তাপ-হারী॥ নিদ্রোত্থিতContinue Reading
ফণী-মনসা » অন্তর-ন্যাশন্যাল সঙ্গীত
জাগো— জাগো অনশন-বন্দী, ওঠো রে যত জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত! যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি হাঁকে নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী, নব জনম লভি অভিনব ধরণি ওরে ওই আগত॥ আদি শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র-আচার মূল সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার!Continue Reading
ফণী-মনসা » রক্ত-পতাকার গান
ওড়াও ওড়াও লাল নিশান!…. দুলাও মোদের রক্ত-পতাকা ভরিয়া বাতাস জুড়ি বিমান! ওড়াও ওড়াও লাল নিশান॥ শীতের শ্বাসেরে বিদ্রুপ করি ফোটে কুসুম, নব-বসন্ত-সূর্য উঠিছে টুটিয়া ঘুম, অতীতের ওই দশ-সহস্র বছরের হানো মৃত্যু-বাণ ওড়াও ওড়াও লাল নিশান॥Continue Reading
ফণী-মনসা » সুর-কুমার
[দিলীপকুমারের ইউরোপ যাত্রা উপলক্ষ্যে] বন্ধু, তোমায় স্বপ্ন-মাঝে ডাক দিল কি বন্দিনী সপ্ত সাগর তেরো নদীর পার হতে সুর-নন্দিনী! বীণ-বাদিনী বাজায় হঠাৎ যাত্রা-পথের দুন্দুভি, অরুণ আঁখি কইল সাকি, ‘আজকে শরাব মুলতুবি!’ সাগর তোমায় শঙ্খ বাজায়, হাতছানিContinue Reading
ফণী-মনসা » সত্যেন্দ্র-প্রয়াণ-গীতি
চল-চঞ্চল বাণীর দুলাল এসে ছিল পথ ভুলে, ওগো এই গঙ্গার কূলে। দিশাহারা মাতা দিশা পেয়ে তাই নিয়ে গেছে কোলে তুলে ওগো এই গঙ্গার কূলে॥ চপল চারণ বেণু-বীণে তার সুর বেঁধে শুধু দিল ঝংকার, শেষ গানContinue Reading
ফণী-মনসা » সত্য-কবি
অসত্য যত রহিল পড়িয়া, সত্য সে গেল চলে বীরের মতন মরণ-কারারে চরণের তলে দলে। যে-ভোরের তারা অরুণ-রবির উদয়-তোরণ-দোরে ঘোষিল বিজয়-কিরণশঙ্ক-আবার প্রথম ভোরে, রবির ললাট চুম্বিল যার প্রথম রশ্মি-টিকা, বাদলের বায়ে নিভে গেল হায়, দীপ্ত তাহারইContinue Reading
ফণী-মনসা » সত্যেন্দ্র-প্রয়াণ
আজ আষাঢ়-মেঘের কালো কাফনের আড়ালে মু-খানি ঢাকি আহা কে তুমি জননি কার নাম ধরে বারে বারে যাও ডাকি? মাগো কর হানি দ্বারে দ্বারে তুমি কোন হারামণি খুঁজিতে আসিলে ঘুম-সাগরের পারে? ‘কই রে সত্য, সত্যেন কই’Continue Reading
ফণী-মনসা » দিল-দরদী
[কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘খাঁচার পাখি’ শীর্ষক করুণ কবিতাটি পড়িয়া] কে ভাই তুমি সজল গলায় গাইলে গজল আপসোসের? ফাগুন-বনের নিবল আগুন, লাগল সেথা ছাপ পোষের। দরদ-ভেজা কান্না-কাতর ছিন্ন তোমার স্বর শুনে ইরান মুলুক বিরান হল এমনContinue Reading
ফণী-মনসা » ইন্দু-প্রয়াণ
[কবি শরদিন্দু রায়ের অকালমৃত্যু উপলক্ষ্যে] বাঁশির দেবতা! লভিয়াছ তুমি হাসির অমর-লোক, হেথা মর-লোকে দুঃখী মানব করিতেছি মোরা শোক! অমৃত-পাথারে ডুব দিলে তুমি ক্ষীরোদ-শয়ন লভি, অনৃতের শিশু মোরা কেঁদে বলি, মরিয়াছ তুমি কবি! হাসির ঝঞ্ঝা লুটায়েContinue Reading
ফণী-মনসা » অশ্বিনীকুমার
আজ যবে প্রভাতের নব যাত্রীদল ডেকে গেল রাত্রিশেষে, ‘চল আগে চল’, – ‘চল আগে চল’ গাহে ঘুম-জাগা পাখি, কুয়াশা-মশারি ঠেলে জাগে রক্ত-আঁখি নবারুণ নব আশা। আজি এই সাথে, এই নব জাগরণ-আনা নব প্রাতে তোমারে স্মরিনুContinue Reading
ফণী-মনসা » হেমপ্রভা
কোন অতীতের আঁধার ভেদিয়া আসিলে আলোক-জননী। প্রভায় তোমার উদিল প্রভাত হেম-প্রভ হল ধরণী॥ ভগ্ন দুর্গে ঘুমায়ে রক্ষী এলে কি মা তাই বিজয়-লক্ষ্মী, ‘মেয়্ ভুখা হুঁ’-র ক্রন্দন-রবে নাচায়ে তুলিলে ধমনী॥ এসো বাংলার চাঁদ-সুলতানা বীর-মাতা বীর-জায়া গো॥Continue Reading
ফণী-মনসা » বাংলার মহাত্মা
মা (গান) আজ না-চাওয়া পথ দিয়ে কে এলে ঐ কংস-কারার দ্বার ঠেলে। আজ শব-শ্মশানে শিব নাচে ঐ ফুল-ফুটানো পা ফেলে॥ আজ প্রেম-দ্বারকায় ডেকেছে বান মরুভূমে জাগল তুফান, দিগ্বিদিকে উপচে পড়ে প্রাণ রে! তুমি জীবন-দুলাল সবContinue Reading
ফণী-মনসা » বিদায়-মাভৈঃ
বিদায়-রবির করুণিমায় অবিশ্বাসীর ভয়, বিশ্বাসী! বলো আসবে আবার প্রভাত-রবির জয়! খণ্ড করে দেখছে যারা অসীম জীবনটাই, দুঃখ তারাই করুক বসে, দুঃখ মোদের নাই। আমরা জানি, অস্ত-খেয়ায় আসছে রে উদয়। বিদায়-রবির করুণিমায় অবিশ্বাসীর ভয়॥ হারাই-হারাই ভয়Continue Reading
ফণী-মনসা » সাবধানী ঘণ্টা
রক্তে আমার লেগেছে আবার সর্বনাশের নেশা। রুধির-নদীর পার হতে ঐ ডাকে বিপ্লব-হ্রেষা! বন্ধু গো, সখা, আজি এই নব জয়-যাত্রার আগে দ্বেষ-পঙ্কিল হিয়া হতে তব শ্বেত পঙ্কজ মাগে বন্ধু তোমার; দাও দাদা দাও তব রূপ-মসি ছানিContinue Reading
ফণী-মনসা » মুক্তিকাম
স্বাগত বঙ্গে মুক্তিকাম! সুপ্ত বঙ্গে জাগুক আবার লুপ্ত স্বাধীন সপ্তগ্রাম! শোনাও সাগর-জাগর সিন্ধু-ভৈরবী গান ভয়-হরণ,– এ যে রে তন্দ্রা, জেগে ওঠ তোরা, জেগে ঘুম দেওয়া নয় মরণ! সপ্ত-কোটি কু-সন্তান তোরা রাখিতে নারিলি সপ্তগ্রাম? খাসনি মায়েরContinue Reading