পলাশির অজানা কাহিনী
ভূমিকা

পলাশির যুদ্ধ ও বিপ্লবের প্রায় আড়াইশো বছর পরেও এই ঘটনা বাঙালির জাতীয় জীবনকে আজও আলোড়িত করে, অথচ এর ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির এখনও অভাব দেখা যায়। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের অনুকরণ করে পলাশির ব্যাখ্যা করে চলেছি, নিতান্ত একতরফাভাবেই। তাই এতদিন পরেও পলাশির যুদ্ধ ও বিপ্লবকে বৃহত্তর ইতিহাসের পটভূমিকায় সংস্থাপিত করে ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারায় জাতীয় ইতিহাস নির্ণয় করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই তাগিদ থেকেই এই গ্রন্থের অবতারণা। বস্তুতপক্ষে, পলাশি বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে শুধু নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পলাশিতে ইংরেজদের বাংলা বিজয় ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করে। বাংলা থেকেই এবং বাংলার অর্থভাণ্ডার দিয়েই ইংরেজরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের প্রভুত্ব বিস্তার করে এবং ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। তাই ইংরেজদের বাংলা বিজয় থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা। সেজন্য ইংরেজরা কেন এবং কীভাবে বাংলা জয় করল তার সম্যক বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে শুধু নয়, এস. সি. হিল (১৯০৫) থেকে শুরু করে অধুনা পিটার মার্শাল (১৯৮৭), ক্রিস বেইলি (১৯৮৭), রজতকান্ত রায় (১৯৯৪) প্রমুখের গ্রন্থেও সিরাজদ্দৌল্লা, পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লব সম্বন্ধে কতগুলি বক্তব্য স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে দেখা যায়। সাধারণভাবে এ-বক্তব্যগুলি হল, পলাশির ষড়যন্ত্রে ইংরেজদের বিশেষ কোনও ভুমিকা ছিল না। সিরাজদ্দৌল্লা এতই দুশ্চরিত্র, দুর্বিনীত এবং নিষ্ঠুর ছিলেন যে তাতে রাজ্যের অমাত্যবর্গ শুধু নয়, সাধারণ মানুষও নবাবের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই তাঁকে অপসারণ করতে মুর্শিদাবাদ দরবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বদ্ধপরিকর হয় এবং এ কাজ সম্পন্ন করতে তারা ইংরেজদের সামরিক শক্তির সাহায্য পাওয়ার প্রত্যাশায় তাদের ডেকে আনে। তাই ইংরেজদের বাংলা বিজয় একটি ‘আকস্মিক’ ঘটনামাত্র, এর পেছনে তাদের কোনও পূর্ব-পরিকল্পনা (মার্শালের ভাষায় ‘no calculated plottings’) ছিল না। মুর্শিদাবাদের দরবারে ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়ে তারা মাঠে নেমে পড়ে এবং নবাবের অমাত্যদের সঙ্গে সিরাজকে হঠিয়ে মীরজাফরকে নবাব করার পরিকল্পনায় সামিল হয়।

সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা হয় যে সিরাজদ্দৌল্লার সঙ্গে ইংরেজদের যে সংঘর্ষের পরিণতি হিসেবে তিনি শেষপর্যন্ত বাংলার মসনদ পর্যন্ত হারালেন, তার জন্য মূলত দায়ী তিনিই। আবার পলাশি বিপ্লবের ব্যাখ্যা হিসেবে যুক্তি দেখানো হয়ে থাকে যে, সিরাজদ্দৌল্লা নবাব হয়ে তাঁর আচরণ ও ব্যবহারে প্রভাবশালী শাসকগোষ্ঠীকে তাঁর প্রতি বিরূপ করে তোলার ফলে বাংলায় যে অভ্যন্তরীণ ‘সংকট’ দেখা দেয়, তার পরিণতিই পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লব। ইদানীং এটাও প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে প্রাক্-পলাশি বাংলায় রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক ‘সংকট’ও (বিশেষ করে কে. এন. চৌধুরী, ১৯৭৮; মার্শাল, ১৯৮০; ৮৭) দেখা যাচ্ছিল এবং এই উভয় ‘সংকট’ থেকে বাংলাকে উদ্ধার করার জন্যই যেন ইংরেজরা ‘অনিচ্ছাসত্ত্বেও’ বাংলা জয় করে। কোনও কোনও ঐতিহাসিক আবার ইংরেজদের বাংলা বিজয়ের যাথার্থ্য প্রমাণ করতে গিয়ে প্রাক্-পলাশি বাঙালি সমাজের একটি দ্বিধাবিভক্ত চিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টায় যত্নবান। এঁদের বক্তব্য, পলাশির প্রাক্‌কালে বাংলার সমাজ সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মুসলিম শাসনের নিপীড়নে নির্যাতিত সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায় মুসলিম নবাবের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য ইংরেজদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিল।

আমরা কিন্তু এখানে বিস্তারিত তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছি যে ওপরের প্রায় সব বক্তব্যগুলিই অসার, মোটেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়। গত দু’দশকের বেশি ইউরোপের বিভিন্ন আর্কাইভসে, বিশেষ করে ব্রিটিশ লাইব্রেরির ইন্ডিয়া অফিস রেকর্ডসে (India office Records, British Library, London) রক্ষিত ইংরেজ কোম্পানির নথিপত্র ও ‘প্রাইভেট পেপারস’ এবং হল্যান্ডের রাজকীয় আর্কাইভসে (Algemeen Rijksarchief, The Hague) সংরক্ষিত ডাচ কোম্পানির দলিল দস্তাবেজ ও কাগজপত্রে (যেগুলো পলাশির প্রেক্ষিতে আগে কেউই দেখেননি বা ব্যবহার করেননি) যে-সব নতুন তথ্যের সন্ধান পেয়েছি এবং তার পাশাপাশি আগের জানা তথ্য ও সমসাময়িক ফারসি ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের পুনর্বিচার করে আমরা ওপরের বক্তব্যগুলি খণ্ডন করেছি। আমরা দেখিয়েছি, প্রাক্‌-পলাশি বাংলায় রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক, কোনওরকমের ‘সংকট’ই ছিল না। তাই বাংলার অভ্যন্তরীণ ‘সংকটে’র ফলেই পলাশি বিপ্লব হয়েছিল, এ অভিমত গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাও দেখিয়েছি, মধ্য অষ্টাদশ শতকে, পলাশির প্রাক্‌কালে, বাঙালি সমাজ সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে মোটেই দ্বিধাবিভক্ত ছিল না। সুতরাং এই দ্বিধাবিভক্ত সমাজই পলাশির অন্যতম কারণ, এ বক্তব্যও অচল।

অবশ্য অনেকদিন আগেও কোনও কোনও বাঙালি ঐতিহাসিক, নাট্যকার, প্রমুখ ওপরের বক্তব্যগুলির, বিশেষ করে সিরাজদ্দৌল্লা সম্বন্ধে, বিরোধিতা করেছেন, যেমন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (সিরাজদ্দৌল্লা), শচীন সেনগুপ্ত (সিরাজদ্দৌল্লা) (নাটক), প্রভৃতি। তবে এগুলি জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষিতে লেখা, তথ্যের চেয়ে ভাবাবেগই প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। তা ছাড়া তাঁদের পক্ষে বিদেশের বিভিন্ন আর্কাইভসে গবেষণা করাও সম্ভব ছিল না। ষাটের দশকে ব্রিজেন গুপ্ত ওপরের কিছু কিছু বক্তব্য খণ্ডন করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সবগুলি প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। অন্যদিকে কালীকিঙ্কর দত্ত মূল প্রশ্নগুলিকে প্রায় এড়িয়েই গেছেন। তাই আমরা এখানে যা বলতে চেয়েছি তা সম্পূর্ণ নতুন এবং তথ্যভিত্তিক।

এখানে আমাদের মূল বক্তব্য, পলাশির ষড়যন্ত্রে ও বিপ্লবে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল ইংরেজরাই, ভারতীয়রা নয়। ইংরেজরা বেশ পরিকল্পিতভাবেই এ-কাজ সম্পন্ন করে, এবং নানা প্রলোভন ও প্রচ্ছন্ন ভয় দেখিয়ে তারা মুর্শিদাবাদ দরবারের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে তাদের পরিকল্পনায় সামিল করে। শুধু তাই নয়, পলাশি যুদ্ধের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে যাতে দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা সিরাজদ্দৌল্লাকে হঠিয়ে অন্য কাউকে মসনদে বসাবার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকে। তবে এটাকে দেশীয় চক্রান্তকারীদের দোষ স্খালনের প্রচেষ্টা হিসেবে ধরে নেওয়া ভুল হবে। নবাবের দরবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা অংশ সিরাজদ্দৌল্লার ওপর বিরূপ হয়ে একটা চক্রান্ত করার চেষ্টা করছিল, এ-কথা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা যে-বক্তব্যের ওপর জোর দিচ্ছি তা হল, ইংরেজদের নেতৃত্বেই পলাশি চক্রান্ত পূর্ণ অবয়ব পেয়েছিল এবং খুব সম্ভবত তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই চক্রান্ত পরিপূর্ণ রূপ নিয়ে নবাবের পতন ঘটাতে পারত না।

তবে এটা মনে রাখা প্রয়োজন, পলাশি বিপ্লব ও ইংরেজদের বাংলা বিজয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় যে উদ্দেশ্য কাজ করেছে, তা কোম্পানির নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থ নয়। বস্তুত, লন্ডন থেকে কোম্পানির পরিচালক সমিতি এরকম পরিষ্কার কোনও নির্দেশ কখনও দেয়নি। আসলে ইংরেজদের বাংলা বিজয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থেই। এই কর্মচারীরা সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এদেশে আসত একটি মাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে—এখানে ব্যক্তিগত বাণিজ্যের মাধ্যমে অল্প সময়ে প্রচুর ধনোপার্জন করে দেশে ফিরে তোফা আরামে বাকি জীবনটা কাটাবে বলে। কোম্পানির কর্মচারীদের এই ব্যক্তিগত বাণিজ্যের রমরমা ছিল ১৭৩০-এর দশক থেকে ১৭৪০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত। কিন্তু তারপরে এই ব্যবসা-বাণিজ্য চরম সংকটের সম্মুখীন হয়—বিশেষ করে ফরাসিদের ব্যক্তিগত বাণিজ্য ও আর্মানি বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে। তার ওপর বাংলার নবাবদের মধ্যে এই প্রথম তরুণ ও বেপরোয়া নবাব সিরাজদ্দৌল্লা মসনদে বসার পরে ঘোষণা করলেন যে তিনি ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারীদের বে-আইনি ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য ও তাদের দস্তকের (যা দিয়ে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করা যেত) যথেচ্ছ অপব্যবহার বন্ধ করে দিতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং এই কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার করতে একদিকে সিরাজদ্দৌল্লাকে এবং অন্যদিকে ফরাসি ও আর্মানিদের হঠানো অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সেজন্যেই পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লব, যাতে বাংলার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা ইংরেজরা কুক্ষিগত করতে পারে এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের আবার শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

মোট এগারোটি অধ্যায়ে আমরা আমাদের বক্তব্যগুলি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। প্রথমেই ‘ভূমিকা’-তে আমাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সম্বন্ধে আভাস দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে নবাবি আমলে বাংলার রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা। পরের অধ্যায়ে সিরাজ-চরিত নিয়ে যে-সব ফারসি ও ইউরোপীয় বৃত্তান্তের ওপর সাধারণত নির্ভর করা হয়, সেগুলির দোষত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে পলাশির প্রেক্ষিতে বাংলায় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলি ও এশীয় বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখানে দেখানো হয়েছে অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার বাণিজ্যিক অর্থনীতিতে ইউরোপীয় বাণিজ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এ সময়, এমনকী মধ্য-অষ্টাদশ শতকেও, বাংলা থেকে এশীয়/ভারতীয় বণিকদের রফতানির পরিমাণ সব ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির সম্মিলিত মোট রফতানির চেয়েও অনেক বেশি ছিল। ফলে এশীয় বণিকরাই বাংলায় সবচেয়ে বেশি সোনা-রুপো আমদানি করত, ইউরোপীয়রা নয়। পরবর্তী অধ্যায়ে সিরাজদ্দৌল্লার সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট ও মূল কারণগুলি নির্দেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লব কেন অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে ষষ্ঠ অধ্যায়ে। এখানে বলা হয়েছে বাংলায় কোনও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকট তখন ছিল না, সমাজও সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েনি, আর ‘কোলাবোরেশন’ থিসিসও অচল। সপ্তম অধ্যায়ে আছে পলাশি চক্রান্তের সূচনা, বিকাশ ও রূপায়ণের সম্যক বিশ্লেষণ। তার পরের অধ্যায়ে ষড়যন্ত্রের মূল নায়কদের, ইংরেজ ও দেশীয় দু’তরফেরই, বিস্তৃত পরিচিতি, কার্যকলাপ ও চক্রান্তে তাদের ব্যক্তিগত ভূমিকার বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। নবম অধ্যায়ে ইংরেজরা কীভাবে ষড়যন্ত্র পাকা করে ফেলে, মীরজাফরের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরেও তাড়াতাড়ি বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য ইংরেজদের যে অস্থিরতা, মীরজাফরকে একদিকে প্রচ্ছন্ন ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে অন্যদিকে কাকুতিমিনতি করে নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করার জন্য পীড়াপীড়ি, এ-সব ইংরেজদের লেখা থেকেই দেখানো হয়েছে। আর পলাশির পরে ইংরেজরা কীভাবে বাংলায় অর্থনৈতিক লুণ্ঠন শুরু করে দেয়, কীভাবে উত্তর-পলাশি পর্বে তারা বাংলা থেকে বিরাট ধন নিষ্কাশণের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং কীভাবে তারা বাংলার অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় তার বিস্তারিত আলোচনা আছে দশম অধ্যায়ে। শেষ অধ্যায়ে উপসংহার—এই গ্রন্থের মূল বক্তব্য ও বিশ্লেষণের সংক্ষিপ্তসার।