নিভৃত

অনিশ্চিত পৃথিবীতে অরণ্যের ফুল

রচে গেল ভুল;

তারা তো জানত যারা পরম ঈশ্বর

তাদের বিভিন্ন নয় স্তর,

অনন্তর

তারাই তাদের সৃষ্টিতে

অনর্থক পৃথক দৃষ্টিতে

একই কারুকার্যে নিয়মিত

উত্তপ্ত গলিত

ধাতুদের পরিচয় দিত।

শেষ অধ্যায় এল অকস্মাৎ।

তখন প্রমত্ত প্রতিঘাত

শ্রেয় মেনে নিল ইতিহাস,

অকল্পেয় পরিহাস

সুদূর দিগন্তকোণে সকরুণ বিলাল নিঃশ্বাস।

যেখানে হিমের রাজ্য ছিল,

যেখানে প্রচ্ছন্ন ছিল পশুর মিছিলও

সেখানেও ধানের মঞ্জরী

প্রাণের উত্তাপে ফোটে, বিচ্ছিন্ন শর্বরী:

সূর্য-সহচরী!

তাই নিত্যবুভুক্ষিত মন

চিরন্তন

লোভের নিষ্ঠুর হাত বাড়াল চৌদিকে

পৃথিবীকে

একাগ্রতায় নিলো লিখে।

সহসা প্রকম্পিত সুষুপ্ত সত্তায়

কঠিন আঘাত লাগে সুনিরাপত্তায়।

ব্যর্থ হল গুপ্ত পরিপাক,

বিফল চীৎকার তোলে বুভুক্ষার কাক

–পৃথিবী বিস্ময়ে হতবাক॥