দেওঘরের স্মৃতি[১]

চিকিৎসকের আদেশে দেওঘরে এসেছিলাম বায়ু পরিবর্তনের জন্যে। আসার সময় রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতাটা বারংবার মনে হয়েছিল—

ওষুধে ডাক্তারে—

ব্যাধির চেয়ে আধি হল বড়

—করলে যখন অস্থির জর জর

তখন বললে হাওয়া বদল করো।

বায়ু পরিবর্তনে সাধারণতঃ যা হয় সে-ও লোকে জানে, আবার আসে-ও। আমিও এসেছি। প্রাচীর ঘেরা বাগানের মধ্যে একটা বড় বাড়িতে থাকি। রাত্রি তিনটে থেকে কাছে কোথাও একজন গলাভাঙ্গা একঘেয়ে সুরে ভজন শুরু করে, ঘুম ভেঙে যায়, দোর খুলে বারান্দায় এসে বসি। ধীরে ধীরে রাত্রি শেষ হ’য়ে আসে,— পাখীদের আনাগোনা শুরু হয়। দেখতাম ওদের মধ্যে সবচেয়ে ভোরে ওঠে দোয়েল। অন্ধকার শেষ না হতেই তাদের গান আরম্ভ হয়, তারপরে একটি দুটি করে আসতে থাকে বুলবুলি, শ্যামা, শালিক, টুনটুনি,—পাশের বাড়ির আমগাছে, এ বাড়ির বকুল-কুঞ্জে, পথের ধারের অশ্বত্থ গাছের মাথায়—সকলকে চোখে দেখতে পেতাম না, কিন্তু প্রতিদিন ডাক শোনার অভ্যাসে মনে হতো যেন ওদের প্রত্যেককেই চিনি। হলদে রঙের একজোড়া রঙ্গীন পাখী একটু দেরি করে আসতো। প্রাচীরের ধারে ইউক্যালিপটস্ গাছের সব চেয়ে উঁচু ডালটায় বসে তারা প্রত্যহ হাজিরা হেঁকে যেতো। হঠাৎ কি জানি কেন দিন দুই এল না, দেখে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম—কেউ ধরল না তো? এদেশে ব্যাধের অভাব নেই,—পাখী চালান দেওয়াই তাদের ব্যবসায়—কিন্তু তিন দিন পরে আবার দুটিকে ফিরে আসতে দেখে মনে হলো যেন সত্যিকার একটা ভাবনা ঘুচে গেল।

এমনি করে সকাল কাটে। বিকালে গেটের বাহিরে পথের ধারে এসে বসি। নিজের সামর্থ্য নেই বেড়াবার, যাদের আছে তাদের প্রতি চেয়ে-চেয়ে দেখি। দেখতাম মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঘরে পীড়িতদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই ঢের বেশী। প্রথমেই যেত পা ফুলো-ফুলো অল্পবয়সী একদল মেয়ে। বুঝতাম এরা বেরী-বেরীর আসামী। ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কত না যত্ন। মোজার পরার দিন নয়, গরম পড়েছে, তবু দেখি কারও পায়ে আঁট করে মোজা পরা। কেউ বা দেখতাম মাটি পর্যন্ত লুটিয়ে কাপড় পরেছে,—সেটা পথ চলার বিঘ্ন, তবু, কৌতুহলী লোকচক্ষু থেকে তারা বিকৃতিটা আড়াল রাখতে চায়। আর সব চেয়ে দুঃখ হ’ত আমার একটি দরিদ্র ঘরের মেয়েকে দেখে। সে একলা যেত। সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন নেই, শুধু তিনটি ছোট-ছোট ছেলে-মেয়ে। বয়স বোধকরি চব্বিশ-পঁচিশ, কিন্তু দেহ যেমন শীর্ণ মুখ তেমনি পাণ্ডুর—কোথাও যেন এতটুকু রক্ত নেই। শক্তি নেই নিজের দেহটাকে টানবার, তবু সব চেয়ে ছোট ছেলেটি তার কোলে! সে তো আর হাঁটতে পারে না—অথচ, রেখে আসবারও ঠাঁই নেই।  কি ক্লান্তই না মেয়েটির চোখের চাহনি। মনে হ’তো আমাকে দেখে যেন সে লজ্জা পায়। কোন মতে এই স্থানটুকু তাড়াতাড়ি পালাতে পারলেই বাঁচে। ছেঁড়াখোঁড়া জামা-কাপড়ে সন্তান তিনটি ঢেকে-ঢুকে প্রত্যহই সে এই পথে চলত। হয়ত ভেবেচে, আর কিছুতে যা হ’লো। না, সাঁওতাল পরগনার স্বাস্থ্যকর জল হাওয়ায় এই অত্যন্ত ক্লেশকর হাঁটার মধ্যে দিয়েই সেটুকু সে পূরণ করে নিতে পারবে। রোগ মুক্ত হয়ে আবার ফিরে পাবে বল, ফিরে পাবে আশা—আবার স্বামীপুত্রের সেবায় সংসারে নারী-জীবনটা সাৰ্থক করে তুলতে পারবে। নিজের মনে বসে বসে ভাবতাম, এ ছাড়া আর কি-ই বা কামনা আছে তার? বাঙলা দেশের মেয়ে,—এর বেশী চাইতে কে কবে শেখালে তারে? মনে মনে আশীর্ব্বাদ করতাম—মেয়েটি যেন ভাল হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, যে ছেলে তিনটি তার সমস্ত জীবনীশক্তি শোষণ করে নিয়েচে তাদেরই যেন মানুষ করবার অবকাশ পায়। সে কার মেয়ে, কার বৌ, কোথায় বাড়ি কিছুই জানিনে,—শুধু এই বাঙলা দেশের অসংখ্য মেয়ের প্রতীক হয়ে সে যেন আমার মনের মধ্যে গভীর দাগ কেটে রেখে গেল, যা সহজে মুছবার নয়।

আমার সঙ্গে এসেছিল একটি ধ্রুবক বন্ধু। নিঃস্বার্থ সেবার জন্যে। কলকাতায় ভারি অসুখের সময়েও যেমন দেখেচি, এখানে দেখতে পেলাম তেমনি। মাঝে মাঝে সে বলতো — চলুন দাদা, আজ একটু বেড়িয়ে আসবেন! আমি বলতাম, তুমি যাও ভাই, আমি এখানে বসেই ও কাজটা সেরে নিই। সে অসহিষ্ণু হয়ে বলতো— আপনার চেয়েও কত বেশী বয়সের লোক এখানে বেড়িয়ে বেড়ায়। একটু চলাফেরা না করলে ক্ষিদে হবে কেন? বলতাম, ওটা কম হলেও সইবে, কিন্তু পথে পথে মিছিমিছি ঘুরে বেড়ানো যাবে না।

সে রাগ করে একলাই বেড়াতে যেতো। কিন্তু সাবধান করে দিত,—অন্ধকারে বাড়ি ফিরবেন না যেন। আলো আনতে চাকরদের ডাকবেন। এদিকে ‘করেত’ সাপটা কিছু বেশি। নিরীহ জীব, কেবল গায়ে পা দেওয়াটা তারা পছন্দ করে না।

সেদিন বন্ধু গেছেন ভ্রমণে। সন্ধ্যার তখনও দেরি আছে; দেখি জন-কয়েক বৃদ্ধ ব্যক্তি ক্ষুধা আহরণের কর্তব্যটা সমাধা করে যথারীতি দ্রুতপদেই ত্রস্ত বাসায় ফিরছেন। সম্ভবতঃ এঁরা বাতব্যাধিগ্রস্ত, সন্ধ্যার পূর্ব্বেই এঁদের ঘরে প্রবেশ করা প্রয়োজন৷ তাঁদের চলন দেখে ভরসা হ’লো, ভাবলাম, যাই, আমিও একটু ঘুরে আসিগে। সেদিন পথে পথে অনেক বেড়ালাম। অন্ধকার হয়ে এলো, ভেবেছিলাম আমি একাকী, হঠাৎ পিছনে চেয়ে দেখি একটি কুকুর আমার পিছনে চলেছে। বললাম, কি রে যাবি আমার সঙ্গে? অন্ধকার পথটায় বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারবি? সে দূরে দাঁড়িয়ে ল্যাজ নাড়তে লাগলো। বুঝলাম সে রাজি আছে। বললাম, তবে, আয় আমার সঙ্গে। পথের ধারে একটা আলোতে দেখতে পেলাম কুকুরটার বয়স হয়েছে, রোগে পিঠের লোম উঠে গেছে, একটু খুঁড়িয়ে চলে। কিন্তু যৌবনে একদিন শক্তি-সামর্থ্য ছিল তা বুঝা যায়। তাকে অনেক কিছু প্রশ্ন করতে করতে বাড়ির সুমুখে এসে পৌঁছলাম। গেট খুলে দিয়ে ডাকলাম, ভেতরে আয়। আজ তুই আমার অতিথি। সে বাইরে দাঁড়িয়ে ল্যাজ নাড়তে লাগলো, কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেলে না। আলো নিয়ে চাকর এসে উপস্থিত হ’ল, গেট বন্ধ করে দিতে চাইলে, বললাম, না, খোলাই থাক্‌। যদি আসে, ওকে খেতে দিস্‌ । ঘণ্টাখানেক পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম সে আসেনি — কোথায় চলে গেছে।

পরদিন সকালে বাইরে এসেই দেখি গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আমার সেই কালকের অতিথি। বললাম, কাল তোকে খেতে নেমন্তন্ন করলাম, এলিনে কেন?

জবাবে সে মুখপানে চেয়ে তেমনি ল্যাজ নাড়তে লাগলো। বললাম, আজ তুই খেয়ে যাবি,—না খেয়ে যাস্‌নে। বুঝলি? প্রত্যুত্তরে সে শুধু ঘন ঘন ল্যাজ নাড়লে —অর্থ বোধ হয় এই যে—সত্যি বলচ ত?

রাত্রে চাকর এসে জানালে সেই কুকুরটা এসে আজ বাইরের বারান্দার নীচে উঠনে বসে আছে। বামুন ঠাকুরকে ডেকে বলে দিলাম, ও আমার অতিথি, ওকে পেট ভরে খেতে দিও।

পরের দিন খবর পেলাম অতিথি যাননি। আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন করে সে আরামে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে আছে। বললাম, তা হোক, ওকে তোমরা খেতে দিও।

আমি জানতাম প্রত্যহ খাবার ত অনেক ফেলা যায়, এতে কারও আপত্তি হবে না। কিন্তু আপত্তি ছিল এবং অত্যন্ত গুরুতর আপত্তি। আমাদের বাড়তি খাবারের যে প্রবল অংশীদার ছিল এ বাগানের মালীর মালিনী—এ আমি জানতাম না। তার বয়স কম, দেখতে ভালো এবং খাওয়া সম্বন্ধে নির্বিকারচিত্ত। চাকরদের দরদ তার ’পরেই বেশী; অতএব আমার অতিথি করে উপবাস। বিকালে পথের ধারে গিয়ে  বসি, দেখি অতিথি আগে থেকেই বসে আছে ধূলোয়। বেড়াতে বার হ’লে সে হয় পথের সঙ্গী; জিজ্ঞাসা করি, হাঁ অতিথি, আজ মাংস রান্নাটা কেমন হয়েছিল রে? হাড়গুলো চিবোতে চিবোতে স্থিরচিত্তে সে জবাব দেয় ল্যাজ নেড়ে, মনে করি মাংসটা তা হলে ওর ভালোই লেগেছে। জানিনে যে মালীর বউ তাকে মেরে ধরে বার করে দিয়েছে,—বাগানের মধ্যে ঢুকতে দেয় না, তাই ও সুমুখের পথের ধারে বসে কাটায়। আমার চাকরদের তাতে সায় ছিল।

হঠাৎ শরীর খারাপ হ’ল, দিন-দুই নীচে নামতে পারলাম না। দুপুর বেলা উপরের ঘরে বিছানায় শুয়ে, খবরের কাগজটা সেইমাত্র পড়া হয়ে গেছে, জানালার মধ্যে দিয়ে বাইরের রৌদ্রতপ্ত নীল আকাশের পানে চেয়ে অন্যমনস্ক হয়ে ভাবছিলাম, কংগ্রেসের পাণ্ডা যাঁরা—মন্ত্রী হবার তাদের কি উগ্র বাসনা। অথচ নিস্পৃহতার আবরণে সেটা গোপন করার কত না কৌশল। আইন যারা বানিয়ে দিলে একটা কথাও শুনলো না, ব্যাখ্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে কি ঝুটোপুটি লড়াই! নিঃসন্দেহে প্রমাণ দিতে চায় ওদের মতলব ভাল নয়। বিড়ম্বনা আর বলে কারে!

সহসা খোলা দোর দিয়ে সিঁড়ির উপর ছায়া পড়ল কুকুরের। মুখ বাড়িয়ে দেখি অতিথি দাড়িয়ে ল্যাজ নাড়চে। দুপুরবেলা চাকরেরা সব ঘুমিয়েছে, ঘর তাদের বন্ধ, এই সুযোগে লুকিয়ে সে একেবারে আমার ঘরের সামনে এসে হাজির। ভাবলাম, দুদিন দেখতে পায়নি, তাই বুঝি আমাকে ও দেখতে এসেছে। ডাকলাম, আয় অতিথি, ঘরে আয়। সে এলো না, সেখানে দাঁড়িয়েই ল্যাজ নাড়তে লাগলো। জিজ্ঞাসা করলাম, খাওয়া হয়েছে ত রে? কি খেলি আজ?

হঠাৎ মনে হ’ল ওর চোখ দুটো যেন ভিজেভিজে, যেন গোপনে আমার কাছে কি একটা ও নালিশ জানাতে চায়। চাকরদের হাঁক দিলাম, ওদের দোর খোলার শব্দেই অতিথি ছুটে পালালো।

জিজ্ঞাসা করলাম, হাঁ রে, কুকুরটারে আজ খেতে দিয়েছিস্?

আজ্ঞে, না। মালী-বৌ ওরে তাড়িয়ে দিয়েছে যে।

আজ যে অনেক খাবার বেঁচেছে, সে সব হ’ল কি?

মালী-বৌ চেঁচে-পুঁচে নিয়ে গেছে।

হাঙ্গামা শুনে বন্ধু ঘুম ভেঙে চোখ রগড়াতে রগড়াতে ঘরে এলেন, মুচকি হেসে বললেন, দাদার এক কাণ্ড। মানুষে খেতে পায় না, পথের কুকুরকে ডেকে খাওয়ানো! বেশ! বন্ধু জানেন এর চেয়ে অকাট্য যুক্তি আর নেই। মানুষকে না দিয়ে কুকুরকে দেওয়া! শুনে চুপ করে রইলাম। সংসারে কার দাবী যে কার কাছে কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, সে ওদের আমি বোঝাবো কি দিয়ে?

সে যাই হোক, আমার অতিথিকে ডেকে আনা হ’ল, আবার সে বারান্দার নীচে উঠনের ধূলোয় পরম নিশ্চিত্তে স্থান করে নিলে। মালী-বৌয়ের ভয়টা তার গেছে। বেলা যায়, বিকেল হলে উপরের বারান্দা থেকে দেখি অতিথি এই দিকে চেয়ে প্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে। বেড়াতে যাবার সময় হ’ল যে।

আমার শরীর সারলো না, দেওঘর থেকে বিদায় নেবার দিন এসে পড়লো। তবু দিন-কয়েক দেরি করলাম নানা ছলে। আজ সকাল থেকে জিনিস বাধাবাধি শুরু হ’লো,—দুপুরে ট্রেনে। গেটের বাইরে সার সার গাড়ি এসে দাঁড়ালো, মাল পত্র বোঝাই দেওয়া চললো। অতিথি মহা ব্যস্ত, কুলিদের সঙ্গে ক্রমাগত ছুটোছুটি কোরে খবরদারি করতে লাগলো, কোথাও যেন কিছু ক্ষোয়া না যায়। তার উৎসাহই সব চেয়ে বেশি।

একে একে গাড়িগুলো ছেড়ে দিলে, আমার গাড়িটাও চলতে শুরু করলে। এখানেও এসেছিস্? সে ল্যাজ নেড়ে তার জবাব দিলে,—কি জানি মানে তার কি!

টিকিট কেনা হ’লো, মালপত্র তোলা হ’লো, বন্ধু এসে খবর দিলেন— ট্রেন ছাড়তে আর এক মিনিট দেরি। সঙ্গে যারা তুলে দিতে এসেছিল তারা বকসিস্ পেলে সবাই, পেল না কেবল অতিথি। গরম বাতাসে ধূলো উড়িয়ে সামনেটা আচ্ছন্ন করেছে; যাবার আগে তারই মধ্যে দিয়ে ঝাপসা দেখতে পেলাম—স্টেশনের ফটকের বাইরে দাড়িয়ে একদৃষ্টে চেয়ে আছে অতিথি। ট্রেন ছেড়ে দিলে, বাড়ি ফিরে যাবার আগ্রহ মনের মধ্যে কোথাও খুঁজে পেলাম না। কেবলই মনে হতে লাগল অতিথি আজ ফিরে গিয়ে দেখবে বাড়ির লোহার গেট বন্ধ, ঢোকবার জো নেই! পথে দাঁড়িয়ে দিন-দুই তার কাটবে, হয়ত নিস্তব্ধ মধ্যাহ্নের ফাঁকে লুকিয়ে উপরে উঠে খুঁজে দেখবে আমার ঘরটা,—তার পরে পথের কুকুর পথেই আশ্রয় নেবে।

হয়ত, ওর চেয়ে তুচ্ছ জীব সহরে আর নেই, তবু, দেওঘরে বাসের ক’টা দিনের স্মৃতি ওকে মনে করেই লিখে রেখে গেলাম।

সূত্রনির্দেশ ও টীকা

  1. এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খৃষ্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যা ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর এপ্রিল, ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দ (বৈশাখ, ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, ২০১, কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছেলেবেলাকার গল্প’ নামক গ্রন্থের সপ্তম ও শেষ গল্প।