ছায়ানট

‘কাজী নজরুল ইসলাম’ রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘ছায়ানট’ আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ, মুতাবিক সেপ্টেম্বর ১৯২৫ খৃষ্টাব্দে প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যে কবিতা ও গান মিলিয়ে রয়েছে পঞ্চাশটি। গ্রন্থটি ‘ব্রজবিহারী বর্ম্মণ রায়’ কর্তৃক ‘বর্ম্মণ পাবলিশিং হাউস’, ১৯৩ কর্ণওয়ালিশ ষ্ট্রীট, কলকাতা হতে প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণে পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০০, মূল্য পাঁচ সিকা।

প্রথম সংস্করণে ‘ছায়ানট’ কাব্যটি কবির শ্রেয়তম রাজলাঞ্ছিত বন্ধু মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ও কুতুবউদ্দীন আহ্‌মদের করকমলে উৎসর্গ করা হয়েছিল, যদিও পরবর্তী সংস্করণগুলোতে ‘উৎসর্গ’ পত্রটি বর্জন করা হয়েছিল।

‘বিজয়িনী’ ১৩২৮ পৌষের ‘মোসলেম ভারত’ পত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।

‘চৈতী হাওয়া’ ১৩৩২ বৈশাখের ‘কল্লোল’ পত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।

‘নিশীথ-প্রীতম্’ ১৩২৮ মাঘে চতুর্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যক ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-পত্রিকায় এবং অষ্টম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যক ‘নারায়ণ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

‘লক্ষ্মীছাড়া’ ১৩২৮ ভাদ্রের ‘উপাসনা’য় প্রথম প্রকাশিত হয়।

‘শেষের গান’ ১৩২৯ শ্রাবণের ‘সহচর’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে প্রথম পঙ্‌ক্তিটি ছিল এরূপ—

আমারমরণ-রথের চাকার ধ্বনি ঐ রে এবার কানে আসে।

তৃতীয় স্তবকের প্রথম পঙ্‌ক্তি ছিল এরূপ—

মোর কাফনের কর্পূর-বাস ভরপুর আজ দিগ্বলয়ে,

‘নিরুদ্দেশের যাত্রী’ ১৩২৭ চৈত্রের ‘নারায়ণ’ পত্রে প্রকাশিত হয়েছিল; শিরোনামের নীচে বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল : ‘বাউল—কাশ্মিরী খেম্‌টা’।

‘চিরন্তনী প্রিয়া’ ১৩২৮ কার্ত্তিকের এবং ‘বেদনা-মণি’ ১৩২৯ ভাদ্রের ‘মানসী ও মর্মবাণী’তে প্রকাশিত হয়েছিল।

‘অনাদৃতা’ ১৩২৮ ভাদ্রের ‘নারায়ণে’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

‘শায়ক-বেঁধা পাখি’ ১৩২৯ আষাঢ়ের ‘বঙ্গবাণী’তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

‘হারা-মণি’ ১৩২৮ সালে নারায়ণ পত্রিকার ১২১৬ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল।

‘স্নেহ-ভীতু’ ১৩২৭ ফাল্গুণের ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল; বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল : ‘বাউল সুর—তাল লোফা’। সে সংখ্যাতেই গানটির ‘শ্রীমতী মোহিনী সেনগুপ্তা’ কৃত স্বরলিপিও প্রকাশত হয়েছিল।

‘পলাতকা’ ১৩২৮ বৈশাখের ভারতী’তে প্রকাশিত হয়েছিল; বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল: ‘মা-মরা খোকার মৃত্যু-শয্যায় পিতা গাচ্ছেন’ এবং ‘সুর—বৈকালী মেঠো বাউল’। গানটি ভারতী হতে ১৩২৮ আশ্বিনের ‘মোসলেম ভারতে’ উদ্ধৃত হয়েছিল।

‘মানস-বধূ’ ১৩২৯ শ্রাবণে প্রথম বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যক মাসিক ‘বসুমতী’তে বের হয়েছিল।

‘দহন-মালা’ ১৩২৮ বৈশাখের এবং ‘অকরুণ প্রিয়া’ ১৩২৮ আশ্বিনের ‘নারায়ণে’ প্রকাশিত হয়েছিল।

‘দূরের-বন্ধু’ ১৩২৭ কার্ত্তিকের ‘মোসলেম ভারতে’ ‘গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল; বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল : ‘লাউনি—বারোঁয়া—তেওরা’।

‘আশা’ ১৩২৭ পৌষের ‘মোসলেম ভারতে’ ‘গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল এবং বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল: ‘খাম্বাজ—(টিমা) একতালা’। সেই সংখ্যাতে শ্রীমতী মোহিনী সেনগুপ্তা কৃত গানটির স্বরলিপিও প্রকাশিত হয়েছিল।

‘মরমী’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৭ ফাল্গুনের ‘মোসলেম ভারতে’। ১৩৩০ অগ্রহায়ণের ‘কল্লোলে’ গানটি পুনর্মুদ্রিত হয় এবং সেই সংখ্যাতেই শ্রীমতী মোহিনী সেনগুপ্তা গানটির সুর ও স্বরলিপি প্রকাশ করেন।

‘প্রতিবেশিনী’ ১৩২৭ মাঘের ‘সওগাতে’ ‘বেদনা-হারা’ শিরোনামে এবং ১৩২৭ চৈত্রের ‘মোসলেম ভারতে’ ‘গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল।

‘দুপুর-অভিসার’ ১৩২৮ শ্রাবণের ‘ভারতী’তে প্রকাশিত হয়েছিল, বন্ধনীর মধ্যে লেখা ছিল : ‘গৌড়—সারঙ্—দাদরা’।

‘ছল-কুমারী’ ১৩২৮ অগ্রহায়ণের ‘উপাসনা’য় প্রকাশিত হয়েছিল।

‘বাদল-দিন’ ১৩২৮ আশ্বিনের এবং ‘কার বাঁশী বাজিল?’ ১৩২৮ ভাদ্রের ‘মোসলেম ভারতে’ প্রকাশিত হয়েছিল।

‘অকেজোর গান’ ১৩২৮ অগ্রহায়ণের এবং ‘স্তব্ধ বাদল’ ১৩২৯ শ্রাবণের ‘প্রবাসী’তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

‘চির-চেনা’ ১৩২৯ শ্রাবণের ‘বঙ্গবাণী’তে প্রকাশিত হয়।

‘অমর কানন’ ১৩৩২ শ্রাবণে পঞ্চম বর্ষ, তেত্রিশ সংখ্যক ‘বিজলী’তে প্রকাশিত হয়।

‘পূবের হাওয়া’ [ঝড় : পূর্ব তরঙ্গ] ১৩৩১ শ্রাবণের, ‘আলতা-স্মৃতি’ ১৩৩০ পৌষের এবং ‘রৌদ্র-দগ্ধের গান’ ১৩৩০ চৈত্রের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়েছিল।

পরবর্তীতে ছায়ানটের ২৬টি কবিতা সামান্য পরিবর্তন সহ ‘পূবের হাওয়া’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়। এসব কবিতায় যে-পাঠভেদ আছে, তার বিবরণ ‘পূবের হাওয়া’র গ্রন্থপরিচয়ে পাওয়া যাবে। আমরা ছায়ানটের প্রথম সংস্কণের পাঠ অনুসরণ করেছি।

উৎসর্গ

আমার শ্রেয়তম রাজলাঞ্ছিত বন্ধু

 মুজফ্‌ফর আহমদ

 

 কুতুবউদ্দীন আহমদ

 করকমলে –