বুলবুল

‘বুলবুল’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গীতিগ্রন্থ, এটিই তাঁর প্রথম গ্রন্থ যাতে শুধু গান প্রকাশিত হয়েছিল। বুলবুল প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মুতাবিক নভেম্বর ১৯২৮, প্রকাশক গোপালদাস মজুমদার, ডি. এম. লাইব্রেরি, ৬১ কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলিকাতা। পৃষ্ঠা সংখ্যাক ৮+৭০; মূল্য এক টাকা; রাজসংস্করণ পাঁচ সিকা। তাতে মোট ৪২টি গান অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বঙ্গাব্দের চৈত্রে গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলে তাতে ‘নূতন গান’ বিভাগে সাতটি গান সংযোজিত হয়েছিল। ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের পৌষের ‘সওগাতে’ ‘অমলেন্দু দাশগুপ্ত’ ‘বুলবুলের কবি’ শিরোনামে ‘বুলবুল’ গ্রন্থের একটি আলোচনা প্রকাশ করেন, এটি গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের গোড়ায় সন্নিবেশিত হয়। ‘বুলবুলে’র তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্রে; প্রকাশক গোপালদাস মজুমদার, ডি. এম. লাইব্রেরি, ৬১ কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট, কলিকাতা। পৃষ্ঠা সংখ্যাক ৮+১৬+৮০; মূল্য এক টাকা চার আনা; রাজসংস্করণ দেড় সিকা। বাংলা একাডেমির নজরুল রচনাবলীতে এই সংস্করণের পাঠ অনুসৃত হয়েছে।

‘বাগিচায় বুল্‌বুলি তুই’ ১৩৩৩ মাঘের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়; রচনার স্থান কৃষ্ণনগর, রচিত হয়েছে ৮ই অগ্রহায়ণ ১৩৩৩।

‘আমারে চোখ ইশারায়’ ১৩৩৩ চৈত্রের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়, ১৩৩৪ আষাঢ়ে ‘কল্লোল’ হতে ‘সওগাত’ পত্রিকায় উদ্ধৃত হয়।

‘বসিয়া বিজনে কেন একা মনে’ ১৩৩৩ ফাল্গুনের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়।

‘ভুলি কেমনে আজও যে মনে’ ১৩৩৪ জ্যৈষ্ঠের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়।

‘কেন কাঁদে পরাণ কি বেদনায়’ ১৩৩৪ শ্রাবণের ‘নওরোজে’ প্রকাশিত হয়।

‘মৃদুল বায়ে বকুল-ছায়ে’ ১৩৩৩ মাঘের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়।

‘কে বিদেশী বন-উদাসী’ ১৩৩৪ পৌষের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয় এবং গানটির কবিকৃত স্বরলিপি ১৩৩৪ চৈত্রের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।

‘করুণ কেন অরুণ আঁখি’ এবং ‘এত জল ও-কাজল চোখে ১৩৩৪ জ্যৈষ্ঠের ‘বঙ্গবাণী’তে প্রকাশিত হয়। এই গান দুটি কবিকৃত স্বরলিপিসহ যথাক্রমে ১৩৩৪ আষাঢ় ও আশ্বিনের ‘নওরোজে’ পুনঃপ্রকাশিত হয়।

‘আসে বসন্ত ফুল-বনে’ ১৩৩৩ পৌষের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়। রচনার স্থান ও তারিখ—কৃষ্ণনগর, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৩৩৩। পাদটীকায় মুদ্রিত আছে — ‘বিখ্যাত উর্দু গজল ‘কিসকে খেরামে নাজ্‌নে কবর্‌মে দিল্ হিলা দিয়া’—সুর।

‘দুরন্ত বায়ু পুরবঁইয়া’ ১৩৩৩ ফাল্গুনের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়। রচনার স্থান ও তারিখ—কৃষ্ণনগর, ১ পৌষ ১৩৩৩। পাদটীকায় মুদ্রিত আছে— “উর্দু গজল : ‘নাজ্‌ভি হোতা রহে হোতি রহে বে-দাদ্ ভি’—সুর।”

‘চেয়ো না সুনয়না’ ১৩৩৪ অগ্রহায়ণের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।

‘নিশি ভোর হল জাগিয়া’ ১৩৩৪ চৈত্রের ‘প্রগতি’তে প্রকাশিত হয়।

‘এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো’ ১৩৩৫ বৈশাখের ‘প্রগতি’তে কবিকৃত স্বরলিপি সহ প্রকাশিত হয়।

‘কেন দিলে এ কাঁটা’ ১৩৩৪ ভাদ্রের ‘নওরোজে’ প্রকাশিত হয়।

‘সখি বলো বঁধুয়ারে নিরজনে’ ১৩৩৪ চৈত্রের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।

‘নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখিজল’ ১৩৩৫ জ্যৈষ্ঠের এবং ‘পরদেশী বঁধূয়া এলে কি এতদিনে’ ১৩৩৪ চৈত্রের ‘কালিকলমে’ প্রকাশিত হয়।

‘আসিলে এ ভাঙা ঘরে’ ১৩৩৪ শ্রাবণের ‘নওরোজে’ কবিকৃত স্বরলিপিসহ প্রকাশিত হয়।

‘আজি দোল-পূর্ণিমাতে’ ১৩৩৪ চৈত্রের এবং ‘আজি এ কুসুম-হার’ ১৩৩৫ আষাঢ়ের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়।

‘গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু’, ‘হাজার তারার হার হয়ে গো’, ‘অধীর অম্বরে গুরু গরজনে’, ‘চরণ ফেলি গো মরণ-ছন্দে’ এবং ‘নমো হে নমো যন্ত্রপাতি’ ১৩৩৪ শ্রাবণের ‘নওরোজে’ ‘সারা ব্রিজ’ (সেতুবন্ধ) নাটিকার গান-রূপে প্রকাশিত হয়।

‘ঝরে ঝরঝর কোন গভীর গোপন ধারা’, ‘হৃদয় যত নিষেধ হানে’, ‘শুকালে মিলন-মালা’, এবং ‘স্মরণ-পারের ওগো প্রিয়’ ১৩৩৪ আষাঢ়ের ‘নওরোজে’ ‘ঝিলিমিলি’ একাঙ্কিকার গানরূপে প্রকাশিত হয়েছিল।

‘গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে’ ১৩৩৫ ভাদ্রে ‘ধূপছায়া’য় ও ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।

‘কোন্ শরতে পূর্ণিমা-চাঁদ আসিলে এ ধরাতল’ ৩১শে ভাদ্র ১৩৩৫ মুতাবিক ১৬ই সেপ্টেম্বর ১৯২৮ তারিখে কলিকাতা ইউনিভার্সিটি ইন্‌স্টিটিউট হলে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (জন্ম : ৩১শে ভাদ্র ১২৮৩ মুতাবিক ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৮৭৬) জন্ম-জয়ন্তী উৎসবে শ্রীমতী সাহানা দেবী কর্তৃক গীত এবং ১৩৩৫ আশ্বিনের ‘কল্লোলে’ প্রকাশিত হয়।

‘কার নিকুঞ্জে রাত কাটায়ে’ ১৩৩৪ জ্যৈষ্ঠের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়; পাদটীকায় মুদ্রিত আছে— ‘উর্দু গজল “নাজ্ ভি হোতা রহে হোতি রহে বেদাদ্ ভি”—সুর।’

‘কেন আন ফুল-ডোর’ রচনার স্থান ও তারিখ—‘নিমতিতা, মুর্শিদাবাদ, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৩৩৫’ । গানটি ১৩৩৫ মাঘের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।

‘কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া’ ১৩৩৫ ফাল্গুণের ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।