প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে ১৩২৩ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ সংখ্যায়। ৫ই জুন, ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। 'বৈকুণ্ঠের উইল' উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো হলো— গোকুল ও বিনোদ; এবং তাদের পিতা বৈকুণ্ঠ মজুমদার ও তাদের মা। ...
প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে ১৩২৩ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ সংখ্যায়। ৫ই জুন, ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
‘বৈকুণ্ঠের উইল’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো হলো— গোকুল ও বিনোদ; এবং তাদের পিতা বৈকুণ্ঠ মজুমদার ও তাদের মা।
‘বৈকুণ্ঠের উইল’-এ অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেখিয়েছেন, দুই ভাইয়ের মান-অভিমান আর সম্পর্কের টানাপোড়নের এক বাস্তবতা। পুরোদস্তুর সামাজিক এ উপন্যাসে আছে ছোট ভাইয়ের প্রতি দাদা গোকুলের অপরিসীম স্নেহের গল্প। ছোট ভাইয়ের অর্জনে গর্ববোধ করা ছাড়াও মা-বাবার প্রতি একান্ত নিষ্ঠার পরিচয়ের নাম গোকুল। কিন্তু স্ত্রী মনোরমা আর শ্বশুর নিমাই রায়ের ষড়যন্ত্রে পড়ে বার বার মা, ভাইকে ভুল বোঝে গোকুল। অপত্য স্নেহের এই উপন্যাসে মাতৃভক্তির প্রবল উদাহরণ আমরা দেখি। অবশেষে ছোট ভাই বিনোদ যখন ভালো মানুষ দাদার পায়ে পড়ে ক্ষমাভিক্ষা করে একটা সুখী ইঙ্গিত দিয়ে শেষ হয় উপন্যাস।
‘বৈকুণ্ঠের উইল’ এর নামকারণের সার্থকতা সহজবোধ্য হবে সকলের জন্য। বৈকুণ্ঠ তার দুই ছেলের মধ্যে অশিক্ষিত বড় ছেলে গোকুলকে সব সম্পত্তি দিয়ে যান উচ্চশিক্ষিত ছোট ছেলে বিনোদকে বঞ্চিত করে। মূলত এই সম্পত্তি নিয়েই তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় আর সেই দূরত্বকে আরো বড় করে তোলে সমাজের নিন্দুকেরা। দুই ভাইয়ের বৈপরীত্বকে ভাঙিয়েও খায় কেউ কেউ। প্রত্যক্ষভাবেই এই উইলই পুরো কাহিনীজুড়ে বিদ্যমান থাকে