বিরহ-বিধুরা

কার তরে? ছাই এ পোড়ামুখ আয়নাতে আর দেখব না;

সুর্মা-রেখার কাজল-হরফ নয়নাতে আর লেখব না!

লাল-রঙিলা করব না কর মেহেদি-হেনার ছাপ ঘষে;

গুলফ চুমি কাঁদবে গো কেশ চিরুণ-চুমার আপশোশে!

কপোল-শয়ান অলক-শিশুর উদাস ঘুম আর ভাঙবে না;

চুমহারা ঠোঁট পানের পিকের হিঙুল রঙে রাঙবে না!

কার তরে ফুলশয্যা বাসর, সজ্জা নিজেই লজ্জা পায়;

পীতম আমার দূর প্রবাসে, দেখবে কে সাজ-সজ্জা হায়!

চাঁচর চুলে ধূম্র ওড়ে, অঙ্গ রাঙায় আগুন-রাগ,

যেমনি ফোটে মন-নিকষে পিয়ার ফাগুন-স্মৃতির দাগ।

সবাই বলে, চিনির চেয়েও শিরিন জীবন,–হায় কপাল!

পীতম-হারা নিম-তেতো প্রাণ কেঁদেই কাটায় সাঁঝ সকাল।

যেথায় থাকো খোশহালে রও, বন্ধু আমার–শোকের বল!

তুমি তোমার সুখ নিয়ে রও,–থাকুক আমার চোখের জল!