(হুগলী কলেজে ছাত্রাবস্থায় লিখিত)

চন্দ্রাস্য সহাস্য করে, ঊষাকালে সতী।
প্রিয়করে করি করে, কহে পতি প্রতি।।
প্রিয়া প্রতি পতি তার, করিছে উত্তর।
চরণে চরণে দেয়, উত্তর সত্বর।।

প্রথমে চরণে স্ত্রীর উক্তি
দ্বিতীয় চরণে পতির উত্তর
পয়ার

স্ত্রীং। কহ না কি হেতু, কান্ত, শশী অস্তে চলে।
পং। তব মুখে মূক হোয়ে, চল অস্তাচলে।।
স্ত্রীং। দশদিগ্ কেন প্রাণ, প্রকাশিত হয়।
পং। তব মুখ আলোকেতে, হয় প্রভাময়।।
স্ত্রীং। কি হেতু কোকিলকুল, কুহু কুহু করে।
পং। তোমার মধুর স্বর, পাইবার তরে।।
স্ত্রীং। সে রবে কি হেতু প্রাণ, হোয়েছে বিকল।
পং। আমারে নির্দ্দয় বোলে, পাও প্রতিফল।।
স্ত্রীং। গন্ধবহ গন্ধ বহে, ভ্রমে কি কারণ।
পং। তব মুখ পদ্মগন্ধ, করিবে গ্রহণ।।
স্ত্রীং। অনিল অনল সম, কেন হয় জ্ঞান।
পং। পরস্পর সখা তারা, জান না কি প্রাণ।।
স্ত্রীং। সখা হোলে একাঙ্গ কি, হয় গুণমণি।
পং। ভাবের এমনি ভাব, এভাব এমনি।।
স্ত্রীং। তবে কেন তুমি আমি, এক অঙ্গ নাই।
পং। দেহে যদি নই, কিন্তু, অন্তরেতে হই।।
স্ত্রীং। কেন পতি, দীনপতি, উঠিছে গগনে।
পং। ওমুখ নলিনী ফুল্ল, করণ কারণে।।
স্ত্রীং। কোথায় যাইছে সব, মধুকরগণ।
পং। বদন কমল তব, করে অণ্বেষণ।।

-‘সংবাদ প্রভাকর,’ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫২

Leave a Reply