বৈকুণ্ঠের উইল

‘বৈকুণ্ঠ মজুমদার ব্যবসায়ী লোক, খুব সৎভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে বড় আড়তে পরিণত করেন তিনি। বৈকুণ্ঠের দুই ছেলে গোকুল এবং বিনোদ। গোকুল তাঁর প্রথম স্ত্রীর সন্তান, আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান হচ্ছে বিনোদ। গোকুল অনেকটা বোকা ধরনের হলেও বাবা, মা এবং ভাইয়ের প্রতি তার ভালবাসা অনেক গভীর। পড়াশোনায় মনোযোগ নেই বিধায় ছোটবেলায়ই বাবার আড়তের কাজে লেগে যায় গোকুল। বিনোদ পড়ালেখায় খুবই ভাল হলেও তার স্বভাব-চরিত্র, চালচলনে মোটেও সন্তুষ্ট নন বাবা বৈকুণ্ঠ মজুমদার। বৈকুণ্ঠের মনে হয় এত কষ্ট করে গড়ে তোলা তার সহায়-সম্পদ বিনোদ আরাম-আয়েস করেই ধ্বংস করে দিবে আর এই ভাবনা থেকেই মৃত্যুর আগে তিনি তার স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে সমস্ত সম্পত্তি গোকুলের নামে উইল করে যান। শুরু হয় দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্ধ; এই দ্বন্ধে ইন্ধন যোগাতে শুরু করে ছোট ভাই বিনোদের শ্বশুর, গ্রামের নষ্ট মানুষেরা। উভয় সঙ্কটে পড়েন মা। নানান দ্বন্ধ-সংঘাতের পরে অবশেষে হয় মিলন।

বৈকুণ্ঠের উইল উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত ‘ভারতবর্ষ’ মাসিক পত্রে ১৩২৩ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ সংখ্যায়। প্রথম পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় ৫ই জুন, ১৯১৬ খৃষ্টাব্দ—১৩২৩ বঙ্গাব্দের আষাঢ়ে।